জাতের নামঃ |
বিনাপাটশাক-১ |
জাতের বৈশিষ্ট্যঃ |
এ জাতটি খাটো। এ জাতটি থেকে কোন প্রকার আঁশ পাওয়া যাবে না। অন্যান্য জাতের চেয়ে পাতার সংখ্যা ও আয়তন বেশী। পাতা দেখতে গাঢ় সবুজ ও সতেজ, ফলে বাজারে চাহিদা বেশী। শাক-পাতার ফলন প্রায় ৩.৫ টন/হেক্টর। শাক-পাতায় প্রচুর ভিটামিন-এ আছে (১০,৭০০ মাইক্রোগ্রাম/১০০গ্রাম) । এ জাতটি লাগানোর ৩০ দিনের মধ্যে পাটশাক তোলা যায়। |
জমি ও মাটিঃ |
বেলে দো-আঁশ ,এটেল দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ। |
জমি তৈরীঃ |
৩-৪ টি চাষ দিায়ে মাটি ঝুরঝুরা করে নিতে হবে এবং জমিতে আগাছা থাকলে তা তুলে ফেলতে হবে। |
বপণের সময়ঃ |
মার্চের ৩য় সপ্তাহ হতে আগস্টের ৩য় সপ্তাহ (ফাল্গুণের ২য় সপ্তাহ হতে শ্রাবন মাস পর্যন্ত) তবে বৃষ্টির সময় না বপন করা উত্তম। |
বীজ হার ঃ |
সারি করে বপন করলে প্রতি হেক্টরে ১৪ কেজি ও ছিটিয়ে বপন করলে ১৫ কেজি। |
বীজ শোধন ঃ |
প্রতি ১০ কেজি বীজে ২৫ গ্রাম ভিটাভ্যাক্স-২০০ বা ব্যাভিস্টিন ব্যবহার করা যেতে পারে। বীজ শোধনের জন্য মাত্রানুযায়ী ছত্রাকনাশক মিশিয়ে একটি বদ্ধ পাত্রে ৪৮ ঘন্টা রাখা আবশ্যক। |
সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ |
প্রতি হেক্টরেঃ ইউরিয়াঃ ৩০-৫০ কেজি, টিএসপিঃ ২৫-৫০ কেজি, এমওপিঃ ৩০-৪০ এর সাথে প্রতি হেক্টর জমিতে ৪-৫ টন পঁচা গোবর বা আবর্জনা সার প্রয়োগ করলে ভাল হয়। প্রয়োগের পদ্ধতিঃ পঁচা গোবর বা আবর্জনা সার জমি তৈরীর ২ সপ্তাহ আগে সমসত্ম জমিতে সমভাবে ছিটিয়ে দিতে হবে।অর্ধেক ইউরিয়া, টিএসপি ও এমওপি সার শেষ চাষের সময় জমিতে ছিটিয়ে প্রয়োগ করতে হবে। বাকী অর্ধেক ইউরিয়া সার প্রথমবার শাক তোলার পরে প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া সার ছিটানোর সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে যেন সার গাছের পাতার সাথে লেগে না থাকে। |
সেচ ও নিষ্কাশনঃ |
জাতটির পরিচর্যা অন্যান্য উফশী বোরো/ আউশ জাতের মতই। চারা রোপনের পর থেকে ক্ষেতে ৩-৫ সেমি এবং গাছ বড় হবার সাথৈ সাথে পানির মাত্রা বাড়িয়ে দিতে হবে। ক্ষেতে অধিক পানি জমে গেলে মাঝে মাঝে পানি বের করে দিয়ে জমি শুকিয়ে ফেলতে হবে এবং পরে আবার পানি দিতে হবে। তবে ধান গাছে থোড় হওয়ার সময় অবশ্যই জমিতে ৩-৫ সেমি পানি থাকা প্রয়োজন। ধান পাকার ১০/১৫দিন আগেই জমি থেকে পানি বের করে দিতে হবে। চারা রোপনের পর ১০/১৫দিন অমত্মর অমত্মর নিড়ানী যন্ত্র বা হাতের সাহায্যে আগাছা পরিস্কার ও মাটি নরম করতে হবে। বীজ গজানোর পর বোরো ধানের ক্ষেত্রে ৪০-৪৫ দিন ও আউশের ক্ষেত্রে ৩০-৩৫ দিন পর্যমত্ম জমি আগাছামুক্ত রাখা প্রয়োজন। |
আগাছা দমন ও মালচিংঃ |
চারা রোপনের পর আগাছা দেখা দিলে নিড়ানী বা হাতের সাহায্যে আগাছা পরিষ্কার এবং মাটি নরম করে মালচিং করতে হবে । |
বালাই ব্যবস্থাপনাঃ |
সাধারনতঃ বিনাপাটশাক-১ এ পোকা-মাকড়ের আক্রমণ খুবই কম। হলুদ মোজাইক রোগ কিছু কিছু গাছে মাঝে মাঝে দেখা দিতে পারে সে ক্ষেত্রে রোগ দেখা দেয়ার সাথে সাথে আক্রমণাত্মক গাছগুলো তুলে নিরাপদ দূরত্বে ফেলে দিতে হবে। |
ফলনঃ |
৩.৪ টন। |
প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন পাট ফসল বিশেষজ্ঞ |
(সকাল ৯ টা-বিকাল ৫টা) কল করুনঃ +৮৮০১৭১০৭৬৩০০৩ ই-মেইলঃ makazad.pbdbina@yahoo.com দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ও পদবী ড. মোঃ আবুল কালাম আজাদ মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ বিনা, ময়মনসিংহ-2202 |
চিত্র: বিনাপাটশাক-১ এর মাঠ